কক্সবাজার সংবাদদাতা ::
রিকশা চালক থেকে হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া রামুর আলোচিত মাদক কারবারি মনজুর আলম ওরফে শিয়াল মনজুরকে ফের ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করেছে র্যাব।
মনজুর রামু রাজারকুল ইউনিয়নের পাঞ্জাগানা বাজারের পশ্চিম ঘোনার পাড়া এলাকার মো. নবীর ছেলে। এসময় তার দুইসহযোগিকেও আটক করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৫’র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানান, মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর সদস্যরা রামু বাইপাস ফুটবল চত্বর সংলগ্ন সিটি পার্কের সামনে ইয়াবা ক্রয়- বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করা একদল ব্যক্তিদেরকে ধাওয়া করে। এসময় পালানোর চেষ্টাকালে তিনজনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের দেহ তল্লাশি চালিয়ে পলিথিন ব্যাগে থাকা ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তারা স্বীকার করেছে, র্দীঘদিন ধরে তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে।
আটক মনজুর আলম ছাড়া তার অপর দুই সহযোগী হলেন, র্পূব মরিচ্যা কাটারিয়া এলাকার সোনা আলীর ছেলে আক্তার হোসেন ও হলদিয়াপালং উত্তর বড়বিল এলাকার মৃত শেহাব আলীর ছেলে জাফর আলম।
এর আগে চলতি বছরের (১৩ জানুয়ারি ) রাতে রামু পাঞ্জাগানা বাজারের ধানসিঁড়ি হোটেল থেকেও শিয়াল মনজুরকে আটক করেছিল রামু থানার পুলিশ। এলাকার সাধারণ মানুষের সহায়তায় শিয়াল মনজুরকে পুলিশ আটক করেছিল।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, মনজুর আলম একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। সেই অনেক বছর ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তার রয়েছে ডজন খানেক মামলা। এরমধ্যে হাফ ডজন মাদকের মামলা। আর বাকি মামলা হচ্ছে-নারী নির্যাতন, চুরি ও বন মামলা। দফায় দফায় মাদকসহ বিভিন্ন মামলা নিয়ে কারাগারেও গিয়েছিল মনজুর। টাকার প্রভাবে বেশিদিন কারাভোগ করতে হয়নি থাকে।
এলাকাবাসী আরো জানান, অতীতে মনজুর আলম দিনের বেলায় রিকশা চালাতো। আর রাতের বেলায় কাঠচুরি করার জন্য বনে যেতো। অল্প সময়ের মধ্যে কোটিপতি বনে গেছে মনজুর আলম। সেই মাদকের টাকা দিয়ে নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি। যা দেখলে চোখ না ফেরার মতো। রয়েছে ২০ টির উপরে সিএনজি ও অঢেল সম্পদ। অল্প সময়ে সবকিছু করেছে মাদকের টাকা নিয়ে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। এছাড়া দেড় বছর আগেও মনজুর আলমের দেশীয় তৈরি চোলাই মদসহ বহনকারী গাড়ি আটক করেছিল র্যাব।
রামু বাইপাস এলাকা থেকে চোলাই মদ নিয়ে জীপ গাড়িসহ ড্রাইভারকে আটক করেছিল র্যাব। সেই সময় ড্রাইভারের স্বীকারোক্তিতে মনজুর আলমকে আটক করার জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিল র্যাব সদস্যরা। বাড়ির ভিতর দিয়ে বিকল্প রাস্তা থাকার কারণে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।
পাঠকের মতামত: